এবার ইসরায়েলের সাম্রাজ্যবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকি ঠেকাতে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোক একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানালেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুলের কাছে একটি ইসলামিক স্কুলের অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।
গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার সময় এক তুর্কি আমেরিকান নারী নিহত হন। তার মৃত্যুর একদিন পরই এই মন্তব্য করলেন এরদোয়ান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের ঔদ্ধত্য, ইসরায়েলি দস্যুতা এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো ইসলামি দেশগুলোর একটি জোট।
তিনি বলেন, মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য তুরস্ক যে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইসরায়েলি সাম্রাজ্যবাদের হুমকির বিরুদ্ধে সংহতির একটি লাইন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই। চলতি সপ্তাহে আঙ্কারায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে স্বাগত জানান এরদোয়ান। এ সময় দুই দেশের নেতা গাজা যুদ্ধ এবং দুই দেশের সম্পর্ক জোড়াদানের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
এদিকে মিশরের তৎকালীন সেনাপ্রধান সিসি মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করলে ২০১৩ সালে আঙ্কারা ও কায়রোর মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে পড়ে। মুরসি তুরস্কের মিত্র এবং মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবশেষ তুরস্ক সফর করেছিলেন তিনি।
তবে তুরস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত,সৌদি আরব ও মিসরের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ হাতে নিলে ২০২০ সালে আঙ্কারা ও কায়রোর সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। গত বছর পারস্পরিকভাবে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় তুরস্ক ও মিসর। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে এরদোয়ান কায়রো সফর করেন।
গত ২০১২ সালের পর তখনই তিনি প্রথমবারের মতো মিসরে পা রাখেন। দুই দেশের সম্পর্ক জোড়াদানে এরদোয়ানের এই সফরকে বেশ বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে এরদোয়ান বলেছিলেন, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে যেকোনো সময় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধ রয়েছে।